যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রেহেনা খাতুন। স্বামী আনোয়ার হোসেন সামান্য একজন দিন মজুর। স্বামী, দুই সন্তান ও বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে ছয়জনের অভাব-অনটনের সংসার। স্বামীর স্বল্প আয়ে দারিদ্রের সাথে যুদ্ধ করে কোন রকমে দিনাতিপাত করতেন। স্বামীর রোজগারের পাশাপাশি নিজে রোজগার করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন রেহেনা খাতুন। কিন্তু ঠিকমত বুঝে উঠতে পারছিলেন না, কিভাবে পরিবারকে দারিদ্রের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিবেন। এমনসময় বিআরডিবির দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্পের (ইরেসপো) মাঠ সংগঠক জেসমিন সুলতানার মাধ্যমে জানতে পারেন গ্রামে প্রায় ৫০ জনকে নিয়ে দুটি মহিলা সমিতি গঠন হচ্ছে। সমিতি ও বিআরডিবি সম্পর্কে জেনে তিনি বিগত ১৮/১২/২০১৩ খ্রি: তারিখে হাড়িয়া পশ্চিমপাড়া মহিলা সমিতির সদস্য হন।
সদস্য হওয়ার পর সমিতিতে নিয়মিত সঞ্চয় জমা করতে থাকেন। এরপর ০৮/০২/২০১৪ খ্রি: তারিখে সমিতি হতে প্রথমবার ১৫,০০০ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণের টাকায় বাড়ির পাশে প্রায় ৫ শতক জায়গায় সম্পুর্ণ নিজ উদ্যোগে গাদা ফুলের চাষ শুরু করেন। এ কাজে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামী তাঁকে সহায়তা এবং অনুপ্রেরণা যোগাতে থাকেন। তিন মাস পর তার ফুল বাগান থেকে ফুল বিক্রি শুরু হয়। ফুল বিক্রির মাধ্যমে তিনি নিজ কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস খুঁজে পান এবং নিয়মিত বাগানের পরিচর্যা করতে থাকেন। মাঝে মাঝে ফুল বিক্রি করে ঋণের কিস্তি পরিশোধ ও পরিবারকে সহায়তা করতে থাকেন। প্রথম ঋণের সেবামূল্যসহ সমুদয় টাকা পরিশোধ করে দ্বিতীয়বার প্রকল্প হতে ২০,০০০ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। নিজের কিছু সঞ্চয় ও ঋণের টাকা দিয়ে তিনি আরো জায়গা লিজ নিয়ে গাদা ফুলের পাশাপাশি তিনি কিছু গোলাপের চারা রোপণ করেন। এভাবে সারা বছর গাদা ও গোলাপ ফুল চাষ ও বিক্রি করে তিনি নিজেকে একজন ফুল চাষি হিসেবে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিবারের অভাব মোচনের একটি ক্ষেত্র তৈরি করেছেন।
বর্তমানে স্বামী ও বৃদ্ধ শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর সহায়তায় হাড়িয়া গ্রামের ৪টি স্থানে প্রায় আড়াই বিঘা জমি লিজ নিয়ে বৃহৎ পরিসরে গাদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা ও গ্যালোরিয়া ফুলের খামার গড়ে তুলেছেন। ফুলচাষের পাশাপাশি বর্তমানে বাড়িতে ৬টি ছাগলসহ ৩০-৩৫টি হাঁস-মুরগী পালন করেন। তাঁর স্বামী অপরের ক্ষেতের পরিবর্তে নিজেরে ক্ষেতে কাজ করেন। ফুল চাষে গতিশীলতা আনার জন্য নিজ সমিতির বেশ কিছু সদস্যকেও তিনি সাথে নিয়েছেন। এর মাধ্যমে রেহেনা খাতুন আত্ম-কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
বর্তমানে রেহেনার পরিবারের মাসিক আয় ৩০,০০০ টাকা। তিনি দুই সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন। বাড়ির সকলে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার ও বিশুদ্ধ পানি পান করেন। রেহেনা খাতুন ব্যক্তিগত সফলতার বিষয়ে জানান, বিআরডিবির সহায়তা আর নিজের সততা, বিশ্বাস ও কঠোর পরিশ্রম এবং পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতার মাধ্যমে মাত্র ৩ বছরের মধ্যেই নিজের দারিদ্র্যকে জয় করেছেন। এ জন্য তিনি পরিবারের সদস্যসহ বিআরডিবির সংশ্লিষ্টদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রেহেনা খাতুন। স্বামী আনোয়ার হোসেন সামান্য একজন দিন মজুর। স্বামী, দুই সন্তান ও বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে ছয়জনের অভাব-অনটনের সংসার। স্বামীর স্বল্প আয়ে দারিদ্রের সাথে যুদ্ধ করে কোন রকমে দিনাতিপাত করতেন। স্বামীর রোজগারের পাশাপাশি নিজে রোজগার করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন রেহেনা খাতুন। কিন্তু ঠিকমত বুঝে উঠতে পারছিলেন না, কিভাবে পরিবারকে দারিদ্রের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিবেন। এমনসময় বিআরডিবির দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্পের (ইরেসপো) মাঠ সংগঠক জেসমিন সুলতানার মাধ্যমে জানতে পারেন গ্রামে প্রায় ৫০ জনকে নিয়ে দুটি মহিলা সমিতি গঠন হচ্ছে। সমিতি ও বিআরডিবি সম্পর্কে জেনে তিনি বিগত ১৮/১২/২০১৩ খ্রি: তারিখে হাড়িয়া পশ্চিমপাড়া মহিলা সমিতির সদস্য হন।
সদস্য হওয়ার পর সমিতিতে নিয়মিত সঞ্চয় জমা করতে থাকেন। এরপর ০৮/০২/২০১৪ খ্রি: তারিখে সমিতি হতে প্রথমবার ১৫,০০০ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণের টাকায় বাড়ির পাশে প্রায় ৫ শতক জায়গায় সম্পুর্ণ নিজ উদ্যোগে গাদা ফুলের চাষ শুরু করেন। এ কাজে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামী তাঁকে সহায়তা এবং অনুপ্রেরণা যোগাতে থাকেন। তিন মাস পর তার ফুল বাগান থেকে ফুল বিক্রি শুরু হয়। ফুল বিক্রির মাধ্যমে তিনি নিজ কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস খুঁজে পান এবং নিয়মিত বাগানের পরিচর্যা করতে থাকেন। মাঝে মাঝে ফুল বিক্রি করে ঋণের কিস্তি পরিশোধ ও পরিবারকে সহায়তা করতে থাকেন। প্রথম ঋণের সেবামূল্যসহ সমুদয় টাকা পরিশোধ করে দ্বিতীয়বার প্রকল্প হতে ২০,০০০ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। নিজের কিছু সঞ্চয় ও ঋণের টাকা দিয়ে তিনি আরো জায়গা লিজ নিয়ে গাদা ফুলের পাশাপাশি তিনি কিছু গোলাপের চারা রোপণ করেন। এভাবে সারা বছর গাদা ও গোলাপ ফুল চাষ ও বিক্রি করে তিনি নিজেকে একজন ফুল চাষি হিসেবে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিবারের অভাব মোচনের একটি ক্ষেত্র তৈরি করেছেন।
বর্তমানে স্বামী ও বৃদ্ধ শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর সহায়তায় হাড়িয়া গ্রামের ৪টি স্থানে প্রায় আড়াই বিঘা জমি লিজ নিয়ে বৃহৎ পরিসরে গাদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা ও গ্যালোরিয়া ফুলের খামার গড়ে তুলেছেন। ফুলচাষের পাশাপাশি বর্তমানে বাড়িতে ৬টি ছাগলসহ ৩০-৩৫টি হাঁস-মুরগী পালন করেন। তাঁর স্বামী অপরের ক্ষেতের পরিবর্তে নিজেরে ক্ষেতে কাজ করেন। ফুল চাষে গতিশীলতা আনার জন্য নিজ সমিতির বেশ কিছু সদস্যকেও তিনি সাথে নিয়েছেন। এর মাধ্যমে রেহেনা খাতুন আত্ম-কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
বর্তমানে রেহেনার পরিবারের মাসিক আয় ৩০,০০০ টাকা। তিনি দুই সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন। বাড়ির সকলে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার ও বিশুদ্ধ পানি পান করেন। রেহেনা খাতুন ব্যক্তিগত সফলতার বিষয়ে জানান, বিআরডিবির সহায়তা আর নিজের সততা, বিশ্বাস ও কঠোর পরিশ্রম এবং পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতার মাধ্যমে মাত্র ৩ বছরের মধ্যেই নিজের দারিদ্র্যকে জয় করেছেন। এ জন্য তিনি পরিবারের সদস্যসহ বিআরডিবির সংশ্লিষ্টদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস